বলা না বলা রিপোর্ট :
মার্কিন মুল্লুকে যাতায়াত এখন তারকাদের জন্য মিরপুর-মোহাম্মদপুর ঘোরাঘুরিতে পরিণত হয়েছে। হালে তারকাদের মুঠোফোন বন্ধ মানেই ফেসবুকে চোখ রাখলে বোঝা যায়, হয় তারা আমেরিকা না হয় কানাডা, দুবাই। গত কয়েক বছরে এই ফুরুৎ ফুরুৎ বিদেশ সফর বিশেষ করে আমেরিকা দাবড়ানোর তালিকায় কমন চেহারাটি ছিল ক্লোজআপ তারকা সানিয়া সুলতানা লিজার। তার ফেসবুক ভর্তি কেবল বিদেশি ছবিতে। বিদেশ যাচ্ছেন, ঘুরছেন, শো করছেন- সবই ঠিক আছে, ওখানে গিয়ে নানা ঠাটবাটের ছবি ফেসবুকে দিয়ে সবাইকে জানানোর মানে কী? এক সমঝদার বললেন, মানে আছে ভাই, মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে যাতে ঢাকা বা অন্য দেশের শো বাতিল না হয়- যে কারণে আপডেট থাকা।
প্রায় এক মাসের সফরে আমেরিকা গেছেন লিজা। তিনি জানিয়েছেন, এবার কোনো শো করতে যাননি। তবে এক মাসের সফরে যদি কোনো ছোটখাটো অনুরোধ আসে তাহলে শো করবেন। কিন্তু পরিকল্পনা করে বায়না নিয়ে তিনি এবার আমেরিকা যাননি। কেবল অবকাশ, ঘোরাঘুরি, আড্ডা আর কেনাকাটা করবেন। যেসব তারকার আত্মীয়স্বজন থাকেন বিদেশে, তাদের তো পোয়াবারো। হোটেল, খাওয়া খরচ, ঘোরাঘুরি একদম ফাও। আর যাদের কেউ থাকে না, তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা করেছেন বেশ কয়েক তারকা মুখ। যেমন টনি ডায়েস, প্রিয়া ডায়েস। আমেরিকায় স্থায়ী এ তারকা দম্পতির বাসায় কোনোভাবে ট্যাক্সি নিয়ে ঢুকতে পারলেই মাস পারের চিন্তা টনির মাথায়! লিজা অবশ্য টনিকে কোনো পেরেশানিতে ফেলেননি। আমেরিকায় লিজার বন্দোবস্ত করার মতো বেশ কয়েকটি বাড়িঘর, ফ্ল্যাট রয়েছে।
ঢাকায় প্রচণ্ড ব্যস্ত লিজা হঠাৎ মাসব্যাপী ফাও সফরে আমেরিকা? একটু খটকা লাগছে অনেকের। ফেসবুকে আমেরিকার যেসব ছবি দিয়ে লিজা বেশ উৎফুল্ল আর গ্ল্যামারের প্রদর্শনী করছেন তাতেও ঠাওর করা যাচ্ছে না- এটা পারিবারিক সফর কি না? সব ছবিতেই লিজা একা, কিন্তু খুশিতে টগবগ করছে তারা মুখ ও শরীরের ভাষা! প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চলল লিজার পরবাসী সময়, তারপরও তার কোনো ছবিতে নেই কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী অথবা আত্মীয়-পরিজনের হদিস! ফিরলেই বোঝা যাবে জীবনের পরিকল্পনায় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নিলেন কি না।