বলা না বলা রিপোর্ট :
হঠাৎ মিতালি মুখার্জিকে দেখে চমকেই উঠেছিলেন রাবেয়া খাতুন। বিশেষ দিনে জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিককে সারপ্রাইজ দিতেই বুধবার মুম্বাই থেকে ঢাকায় আসেন মিতালি মুখার্জি। জন্মদিনে পছন্দের একজন শিল্পীর উপস্থিতিতে দারুণ খুশি রাবেয়া খাতুন। আবার প্রিয় মানুষের জন্মদিনে তাকে চমকে দিতে পেরেও খুশি বাংলাদেশ-ভারতের গুণী এই সংগীতশিল্পী।
কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন ২৭ ডিসেম্বর ৮৪ বছরে পা দিয়েছেন। বাসায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেক কাটার পর অভিনয়শিল্পী আফজাল হোসেন ও মিতালি মুখার্জিরা যোগ দেন। শুধু গানই নয়, এবার এই গায়িকা একের পর এক কবিতা আবৃত্তি করলেন। আর পাশে বসে মুগ্ধতা নিয়ে তা শুনে গেলেন রাবেয়া খাতুন।
মিতালি মুখার্জি এই বাংলাদেশেরই মেয়ে। ময়মনসিংহে জন্ম। অবশ্য এখন স্থায়ীভাবে বাস করছেন ভারতের মুম্বাইয়ে। তবে মাঝেমধ্যে চলে আসেন বাংলাদেশে। চ্যানেল আইয়ের গানের রিয়েলিটি শোয়ে যুক্ত হয়ে যোগাযোগটা আরও বেড়েছে। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সবার সঙ্গে একটা চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে মিতালির। ফরিদুর রেজা সাগরের মা জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনকে খালাম্মা বলেই ডাকেন মিতালি। সেই খালাম্মার জন্যই এবার ছুটে এসেছেন ঢাকায়। মিতালি কবিতা পড়ে শোনালেন। রাবেয়া খাতুন ছাড়াও পাশে বসে ছিলেন ফরিদুর রেজা সাগর, গুণী অভিনয়শিল্পী আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী, শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম ও সংগীতশিল্পী কোনাল।
প্রিয় মানুষ রাবেয়া খাতুনকে বিশেষ দিনে কবিতা শোনাতে পেরে উচ্ছ্বসিত মিতালি মুখার্জিও। বললেন, জন্মদিনে আমি উনার সান্নিধ্যে আসার আগে অনেকগুলো উপলব্ধি কাজ করেছে। তাই এখানকার কাউকে কিছু না জানিয়েই মুম্বাই থেকে ছুটে আসি, আমাকে দেখে খালাম্মাসহ সবাই যে খুশি হয়েছেন- এটাই আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দিয়েছে।
১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জে রাবেয়া খাতুনের জন্ম। দেশের প্রথম চলচ্চিত্র পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক ও প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর পরিচালক প্রয়াত ফজলুল হকের সহধর্মিনী তিনি। রাবেয়া খাতুনের ছেলে মিডিয়া মুঘল ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। রাবেয়া খাতুন সাংবাদিকতার সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। ইত্তেফাক, সিনেমা পত্রিকা ছাড়াও তাঁর সম্পাদনায় পঞ্চাশের দশকে বের হতো অঙ্গনা নামের একটি মহিলা বিষয়ক পত্রিকা। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। সাহিত্যচর্চার জন্য পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কারসহ একাধিক সম্মাননা।