বলা না বলা রিপোর্ট :
বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের চেনামুখ, একনামে পরিচিত তিনি। জীবন্ত এক কিংবদন্তি যার সুরে জন্ম নিয়েছে ইতিহাস। যার বাণী মুগ্ধতা ছড়িয়েছে লাখো-কোটি মানুষের মনে সেই গীতিকার এবং সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর ৬৬তম জন্মদিন আজ ২৪ ডিসেম্বর।
ভাষার দাবিতে উত্তাল তখন দেশ। সেই ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বাশবাড়ী গ্রামের এক সংস্কৃতমনা পরিবারে জন্ম আলাউদ্দিন আলীর। বাবা ওস্তাদ জাবেদ আলী অার ছোট চাচা সাদেক আলী ছিলেন তার প্রথম শিক্ষাগুরু।
চাচার হাত ধরে আলাউদ্দিন আলী বেহালা চর্চায় মনোযোগী হয়েছিলেন কৈশোরে। ১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন। আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন তিনি। এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। এক পর্যায়ে সংগীত পরিচালনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আর এই কাজেও দারুণ সফল হন তিনি।
শুরুতেই বাজিমাত। ১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে জীবনে প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় আলাউদ্দিন আলীর। তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই ও যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ওঠে তার হাতে। ভারতের পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
৩০০টিরও অধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে সাতবার এবং শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে একবারসহ মোট আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন আলউদ্দিন আলী।
কিংবদন্তি এই সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে ‘বলা না বলা’র পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।